বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসা-মক্তব খুলে দেয়ার দাবি চরমোনাই পীরের 

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২১ ২০:১৩

‘নাজিলের মাসে কোরআনি মাদ্রাসাগুলোকে খুলে দেয়া হয়, তাহলে কোরআনের উসিলায় আমাদের দেশে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে, ইনশাআল্লাহ। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

পবিত্র রমজান মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও মক্তব খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে বাচ্চারা যেন কোরআন চর্চা করতে পারে সে জন্য হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মক্তবগুলো খুলে দেয়া জরুরি।’

চরমোনাই পীর বলেন, ‘বাচ্চারা কোরআন পড়ে দেশ, ইসলাম ও মানবতার জন্য বিশেষ দোয়া করবে, মহান রব্বুল আলামিন যেন কোরআনের উসিলায় আমাদের দেশসহ বিশ্ববাসীকে মহামারি থেকে রক্ষা করেন।’

গত বছর করোনা সংক্রমণের পর প্রথমে বন্ধ করে দেয়া হলেও পরে মাদ্রাসা খুলে দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন রেজাউল কবির। বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে মাদ্রাসার হিফজ বিভাগ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেয়া হয়েছিল। ফলে কোরআনের উসিলায় আমাদের এ দেশ অন্য দেশ থেকে অনেক ভালো ছিল।

‘এখনও যদি কোরআন চর্চার জন্য কুরআন নাজিলের মাসে কোরআনি মাদ্রাসাগুলোকে খুলে দেয়া হয়, তাহলে কোরআনের উসিলায় আমাদের দেশে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে, ইনশাআল্লাহ। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পরলে ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হলেও পরে বিশেষ বিবেচনায় কওমি মাদ্রাসা চালু রাখার সুযোগ করে দেয় সরকার।

তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার পর সরকার এবার কওমি মাদ্রাসাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

তবে এর পরেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় কওমি মাদ্রাসা চালু রাখার খবর আসতে থাকে। এরপর গত ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু আবাসিক ও অনাবাসিক মাদ্রাসা এখনও খোলা রয়েছে মর্মে জানা যায় যা বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ।… বর্ণিত অবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কওসি মাদ্রাসাসহ (এতিমখানা ব্যতীত) সব মাদ্রাসা (আবাসিক ও অনাবাসিক) বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। এ নির্দেশ পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না।’

এরপর লকডাউনের মধ্যে মাদ্রাসা খোলা রাখায় গত ১১ এপ্রিল নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের নাজিরগঞ্জ বাজার বায়তুল কোরআন মাদ্রাসা জরিমানাও করা হয়।

তবে এখন আর কোনো মাদ্রাসা খোলা নেই সেটি নিশ্চিত করেছেন কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী।

এ বিভাগের আরো খবর